সাংবাদিক মুজতবা খন্দকারের বিরুদ্ধে সাইবার আইনে মামলায় বিএফইউজের উদ্বেগ

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : এনটিভির যুগ্ম বার্তা সম্পাদক মুজতবা খন্দকারের বিরুদ্ধে সাইবার আইনে মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বিএফইউজে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন ও মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী এবং ডিইউজে সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলম এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

প্রসঙ্গত, গত ৩ নভেম্বর শাহবাগ থানায় সাংবাদিক মুজতবা খন্দকারের বিরুদ্ধে সাইবার আইনে মামলা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শেহহরীন আমিন ভূইয়া।

মামলার এজহারে বলা হয়, “সাংবাদিক ও একটিভিস্ট মুজতবা খন্দকার তার ফেসবুক একাউন্টে আমার ছবি অশালীনভাবে এডিট করে পোস্ট করেন এবং আমাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ, অশালীন ও মানহানিকর মন্তব্য করেন। এ ঘটনায় আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি।”

তিনি সাংবাদিক মুজতবা খন্দকারসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে সাইবার সুরক্ষা আইনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

এ ব্যাপারে মুজতবা খন্দকার জানান, গত ৩০ অক্টোবর সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টার দিকে তার ফেসবুকের পার্সোনাল আইডি সাইবার আক্রমণের শিকার হয়। এর ফলে তার আইডিটি অটো লগ আউট হয়ে যায়। তিনি তার নিজস্ব আইডির ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। পরে অনেকের সাথে যোগাযোগ করে জানতে পারেন শুধু তার নয়, আরো অনেকেরই আইডি ডিজেবল হয়ে গেছে। ওইদিন রাত আনুমানিক পৌনে ১১টার দিকে মার্কিন প্রবাসী একজন তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞের সহায়তায় মুজতবা খন্দকার তার আইডি পুন:রুদ্ধার করতে সক্ষম হন। পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা আইডির ওপর তার কোনো নিয়ন্ত্রণ (হ্যাক) ছিল না।

মুজতবা খন্দকার বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, “মামলার এজাহারে বলা হয়, “আমার ফেসবুক আইডি থেকে নাকি তার এআই ছবি পোস্ট করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমার কোনো ধারণা ছিল না। কারণ, যখন আমার আইডি থেকে ছবি পোস্ট করার কথা বলা হচ্ছে, ওই সময়ে আইডিটি আমার নিয়ন্ত্রণে ছিল না।”

এ ঘটনা উল্লেখ করে গত ৬ নভেম্বর তেজগাঁও থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন মুজতবা খন্দকার যার নং ৪২২।

বিএফইউজে নেতৃবৃন্দ বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে সাংবাদিকদের উপর সংঘবদ্ধ সাইবার হামলা ও হয়রানির ঘটনা বেড়েছে যা উদ্বেগজনক। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব ঘটনার প্রকৃত বিচার হচ্ছে না। এজন্য সাইবার হামলা ও হয়রানির ঘটনা বেড়ে চলেছে। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে একাধিক প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে।

মুজতবা খন্দকার একজন পেশাদার সাংবাদিক। মামলার এজাহারে যে সময় উল্লেখ করা হয়েছে সেই সময়ে তার ফেসবুক আইডি হ্যাক হবার বিষয়ে তিনি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উচিত ছিল বিষয়টি সঠিক তদন্ত করে মামলা গ্রহণ করা।

সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে মুজতবা খন্দকারের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» চব্বিশের পাশাপাশি একাত্তরের গণহত্যারও বিচার করতে হবে: নাসীরুদ্দীন

» গণমাধ্যমের ওপর জনগণের আস্থাহীনতা দূর করতে হবে: তথ্য উপদেষ্টা

» হাসিনা যেমন স্বৈরাচার, একই ভাবে জামায়াতে ইসলামীও স্বৈরাচার: নীলা ইসরাফিল

» জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের আহ্বায়ক ইশরাক হোসেন, সদস্য সচিব নান্নু

» আ.লীগের যারা অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না তারা জামাই আদরে থাকবেন: মনির কাসেমী

» ভূমিকম্পের সতর্কতায় প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

» আলেম-ওলামাদের মেহনত ব্যর্থ হয়নি: ধর্ম উপদেষ্টা

» ফকির-বাউলের উপর এই অত্যাচারের ইতিহাস অনেক পুরোনো: উপদেষ্টা ফারুকী

» নানা অজুহাতে নির্বাচনকে ব্যাহত করার চেষ্টা চলছে : ফারুক

» সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন খালেদা জিয়া

 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

সাংবাদিক মুজতবা খন্দকারের বিরুদ্ধে সাইবার আইনে মামলায় বিএফইউজের উদ্বেগ

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : এনটিভির যুগ্ম বার্তা সম্পাদক মুজতবা খন্দকারের বিরুদ্ধে সাইবার আইনে মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বিএফইউজে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন ও মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী এবং ডিইউজে সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলম এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

প্রসঙ্গত, গত ৩ নভেম্বর শাহবাগ থানায় সাংবাদিক মুজতবা খন্দকারের বিরুদ্ধে সাইবার আইনে মামলা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শেহহরীন আমিন ভূইয়া।

মামলার এজহারে বলা হয়, “সাংবাদিক ও একটিভিস্ট মুজতবা খন্দকার তার ফেসবুক একাউন্টে আমার ছবি অশালীনভাবে এডিট করে পোস্ট করেন এবং আমাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ, অশালীন ও মানহানিকর মন্তব্য করেন। এ ঘটনায় আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি।”

তিনি সাংবাদিক মুজতবা খন্দকারসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে সাইবার সুরক্ষা আইনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

এ ব্যাপারে মুজতবা খন্দকার জানান, গত ৩০ অক্টোবর সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টার দিকে তার ফেসবুকের পার্সোনাল আইডি সাইবার আক্রমণের শিকার হয়। এর ফলে তার আইডিটি অটো লগ আউট হয়ে যায়। তিনি তার নিজস্ব আইডির ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। পরে অনেকের সাথে যোগাযোগ করে জানতে পারেন শুধু তার নয়, আরো অনেকেরই আইডি ডিজেবল হয়ে গেছে। ওইদিন রাত আনুমানিক পৌনে ১১টার দিকে মার্কিন প্রবাসী একজন তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞের সহায়তায় মুজতবা খন্দকার তার আইডি পুন:রুদ্ধার করতে সক্ষম হন। পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা আইডির ওপর তার কোনো নিয়ন্ত্রণ (হ্যাক) ছিল না।

মুজতবা খন্দকার বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, “মামলার এজাহারে বলা হয়, “আমার ফেসবুক আইডি থেকে নাকি তার এআই ছবি পোস্ট করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমার কোনো ধারণা ছিল না। কারণ, যখন আমার আইডি থেকে ছবি পোস্ট করার কথা বলা হচ্ছে, ওই সময়ে আইডিটি আমার নিয়ন্ত্রণে ছিল না।”

এ ঘটনা উল্লেখ করে গত ৬ নভেম্বর তেজগাঁও থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন মুজতবা খন্দকার যার নং ৪২২।

বিএফইউজে নেতৃবৃন্দ বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে সাংবাদিকদের উপর সংঘবদ্ধ সাইবার হামলা ও হয়রানির ঘটনা বেড়েছে যা উদ্বেগজনক। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব ঘটনার প্রকৃত বিচার হচ্ছে না। এজন্য সাইবার হামলা ও হয়রানির ঘটনা বেড়ে চলেছে। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে একাধিক প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে।

মুজতবা খন্দকার একজন পেশাদার সাংবাদিক। মামলার এজাহারে যে সময় উল্লেখ করা হয়েছে সেই সময়ে তার ফেসবুক আইডি হ্যাক হবার বিষয়ে তিনি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উচিত ছিল বিষয়টি সঠিক তদন্ত করে মামলা গ্রহণ করা।

সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে মুজতবা খন্দকারের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com